ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার হতে দেব না: আইনমন্ত্রী

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দিয়ে বাক ও ভাব প্রকাশসহ সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণের বিষয়ে জনমনে যে শঙ্কা তা নাকচ করে দিয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, এই আইনের অপব্যবহার তারা (সরকার) হতে দেবেন না।
রোববার (১৪ জুলাই) বিকেলে গুলশানে নিজের অফিসে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রেন্সজে তেরিংকএর নেতৃতে ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডিয়ান হাইকমিশনারও বৈঠকে অংশ নেন।
আনিসুল হক বলেন, “আমি আবারো পরিষ্কার করতে চাই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন জনগণের সাংবিধানিক অধিকার- বাক ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ব্যাহত করার জন্য প্রণয়ন করা হয়নি। এটি করা হয়েছে শুধুমাত্র সাইবার অপরাধ দমন করার জন্য। তিনি বলেন, আমি পরিষ্কার করতে চাই এই আইনের অপব্যবহার আমরা হতে দিবো না। সেজন্য যা যা করা প্রয়োজন আমরা তা করবো।”
বৈঠকের বিষয়বস্তু তুলে ধরে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে ওনাদের কিছু কনসার্ন ছিলো। সেই কনসার্নগুলোর অগ্রগতি জানার জন্যই মূলত ওনারা এসেছিলেন। আজ মূলত আইনটির ৪৩ ধারা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমি ওনাদের কথা শুনেছি এবং এটার ব্যাপারে সরকারের সাথে আলাপ-আলোচনা করবো বলে তাদেরকে আশ্বাস দিয়েছি। এছাড়া এই আইনের বিধিমালা প্রণয়নের সময় এ বিষয়ে আবারও তাদের সাথে কথা বলার আশ্বাস দিয়েছি।”
আইনের যেসব ধারা নিয়ে অংশীজনদের ‘আপত্তি’ রয়েছে তা ‘দেখবেন’ বলে জানান আইন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, “আমার কথা হচ্ছে কেউ যেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার করতে না পারে সেটা রোধে আমরা সকলের সাথে সহযোগিতা করবো এবং সেই ব্যবস্থা করবো। আর আইনটির যে ধারা নিয়ে স্টেক হোল্ডারদের কিছু অংশ আপত্তি জানাচ্ছে সেটার ব্যাপারে আমরা দেখবো।”