জনগণের সুপারিশ জানতে চায় অর্থনীতির শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি

বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রকৃত অবস্থা জানতে গঠিত শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি জনগণের কাছে বিভিন্ন বিষয়ে সুপারিশ জানতে চেয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কমিটির পক্ষ থেকে একথা জানানো হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের সুপারিশসমূহ পাঠাতে সেখানে ইমেইল, একটি ফেসবুক পেইজ ও লিংকড ইন প্রোফাইল-সহ বেশকিছু যোগাযোগের চ্যানেল দেওয়া হয়েছে।
সুপারিশ পাঠানোর এই মাধ্যমগুলো হলো –
ইমেইলে whitepaperbd2024@gmail.com
ফেসবুকে at www.facebook.com/whitepaperbd2024
এবং লিংকডইনে www.linkedin.com/company/whitepaperbd2024
এছাড়াও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে কমিটির কার্যালয়ে (ব্লক ৪, নিচতলা) একটি পরামর্শ বাক্স রাখা থাকবে। লিখিতভাবে এখানে পরামর্শ ও দলিলপত্রাদি জমা দেওয়া যাবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, "আগ্রহী ব্যক্তিদের নিম্নোক্ত মাধ্যমের সহায়তায় এই কমিটির কাছে তাদের পরামর্শ এবং সুপারিশ রাখতে আহ্বান জানানো হচ্ছে। সবার সহযোগিতাতেই একটি পূর্ণাঙ্গ শ্বেতপত্র প্রকাশ করা সম্ভব হবে বলে কমিটি মনে করে।"
নিম্নোক্ত বিষয়গুলোতে জনসাধারণের পরামর্শ চেয়েছে কমিটি, এগুলো হলো —
সরকারি পরিসংখ্যানের যথার্থতা ও নির্ভরযোগ্যতা; সামষ্টিক অর্থনীতির বর্তমান চ্যালেঞ্জসমূহ; জিডিপির প্রবৃদ্ধির পর্যালোচনা; মূল্যস্ফীতির ধারা এবং তার অভিঘাত; দারিদ্র্য, অসমতা এবং বিপন্নতা; অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ; সরকারি ব্যয় বরাদ্দে অগ্রাধিকার মূল্যায়ন; বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য এবং ঋণ ধারণক্ষমতা, মেগা-প্রকল্প সমূহের মূল্যায়ন; ব্যাংকিং খাতের প্রকৃত অবস্থা; জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের পরিস্থিতি; ব্যবসা-পরিবেশ ও বেসরকারি বিনিয়োগ; অবৈধ অর্থ ও তার পাচার; শ্রমবাজারের গতিশীলতা এবং যুব কর্মসংস্থান; বৈদেশিক শ্রমবাজার ও প্রবাসী শ্রমিকদের অধিকার।
গত ২৯ আগস্ট বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যকে প্রধান করে বাংলাদেশের বিদ্যমান অর্থনৈতিক অবস্থার ওপর শ্বেতপত্র প্রণয়নের লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার।
এই কমিটিতে পরবর্তীতে দেশের ১১ জন স্বনামধন্য বিশেষজ্ঞ সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। ইতোমধ্যেই কমিটি তাদের কাজ শুরু করেছে বলেও জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।