Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Monday
June 16, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
MONDAY, JUNE 16, 2025
৫ হাজার টন কাগজ বিক্রি না হওয়ায় বিপাকে কর্ণফুলী পেপার মিল

অর্থনীতি

ওমর ফারুক
28 June, 2021, 02:50 pm
Last modified: 28 June, 2021, 03:12 pm

Related News

  • খরচ বৃদ্ধি, অতিরিক্ত উৎপাদন ও চাহিদা কমায় মন্দার মুখে দেশের কাগজ শিল্প
  • ৩৬,০০০ কোটি টাকায় কর্ণফুলী পেপার মিলকে পুনরুজ্জীবিত করার পরিকল্পনা
  • একমাস পর উৎপাদনে ফিরল কর্ণফুলী পেপার মিলস
  • বর্জ্য কাগজ প্রক্রিয়াকরণে ১০০ কোটি টাকার নতুন বিনিয়োগ
  • পাল্প সংকটে এখন দেশে ফেলনা কাগজের জন্যও হাহাকার পেপার মিলারদের

৫ হাজার টন কাগজ বিক্রি না হওয়ায় বিপাকে কর্ণফুলী পেপার মিল

দশ থেকে পনেরো বছর আগেও কর্ণফুলী পেপার মিলের কাগজের চাহিদা ছিলো শীর্ষে। মহামারির কারণে বিক্রি না হওয়ায় ৫০ কোটি টাকা সমমূল্যের ৫ হাজার টন কাগজ পড়ে রয়েছে গুদামে।
ওমর ফারুক
28 June, 2021, 02:50 pm
Last modified: 28 June, 2021, 03:12 pm

দেশের বৃহত্তম কাগজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী পেপার মিলসের (কেপিএম) উৎপাদিত কাগজের মূল ক্রেতা সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে সরকারি নিয়োগ, স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম স্তিমিত হয়ে পড়ে। ফলে, এক বছর আগে উৎপাদন করা ৫০ কোটি টাকা মূল্যমানের কাগজ অবিক্রিত অবস্থায় পড়ে আছে কর্ণফুলীর গুদামে। 

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিক্রি না হওয়ায় নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশ কেমিক্যাল করপোরেশনের কাছ থেকে নেওয়া ঋণ পরিশোধ করতে পারছে না কেপিএম কর্তৃপক্ষ।

আর্থিক সংকটে কয়েক বছর আগে বাংলাদেশ কেমিক্যাল করপোরেশনের (বিসিআইসি) কাছ থেকে ২৭ কোটি টাকা ঋণ দিয়ে কাগজ উৎপাদনের পাল্প আমদানি করে কেপিএম। 

আমদানিকৃত কাঁচামাল দিয়ে কাগজ উৎপাদন করা হয়। কিন্তু করোনার কারণে জাতীয় নির্বাচন কমিশন, বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ সরকারি কার্যক্রমে কাগজের ব্যবহার কমে যাওয়ায় বড় ধরনের ঝুঁকিতে পড়েছে প্রতিষ্ঠানটি। 

সংকটকালীন সময়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কেপিএম থেকে কাগজ ক্রয় বন্ধ করে দিয়েছে। বর্তমানে বিজি প্রেস সীমিত পরিসরে কাগজ ক্রয় করলেও প্রতিদিনই কেপিএমের উৎপাদিত কাগজের মজুদ বাড়ছে।

কাগজ অবিক্রিত থাকায় বড় ধরনের আর্থিক সংকটের মধ্যে পড়েছে প্রতিষ্ঠানটি।  

এক সময় পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের কাগজ চাহিদার প্রায় শতভাগ পূরণ করতো কর্ণফুলী পেপার মিল। দুই দশক ধরে বেসরকারি খাতে কাগজকল স্থাপন ও আমদানিকৃত কাগজের কারণে ব্যবসায়িক ভাবে পিছিয়ে পড়ে পাকিস্তান আমলে প্রতিষ্ঠিত উপমহাদেশের অন্যতম বৃহৎ পেপার মিলটি। 

সংকট এড়াতে সরকারি প্রয়োজনের সব ধরনের কাগজ কেপিএম থেকে ক্রয়ের নির্দেশনা দেয় সরকার। মুষ্টিমেয় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এই অনুশাসন মানলেও অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান সেটি মানছে না। যার কারণে লাভের পরিবর্তে লোকসানের আবর্তে ঘুরপাক খাচ্ছে মানসম্মত কাগজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানটি।

কেপিএম এর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিসিআইসি, শিল্প মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরামর্শে ধাপে ধাপে লোকসান কমানোর পাশাপাশি কাগজ উৎপাদন অব্যাহত রেখেছেন তারা। করোনা মহামারির লকডাউন শেষে কারখানাটি আবারো কাগজ উৎপাদন শুরু করে। 

কারখানা সচল রেখে সরকারের বিভিন্ন সংস্থায় কাগজ সরবরাহ নিশ্চিত করতে বিসিআইসি থেকে স¤প্রতি ২৭ কোটি টাকা ঋণ নেয় প্রতিষ্ঠানটি। এই টাকায় বিদেশ থেকে পাল্প আমদানি করে করা হয়। কিন্তু উৎপাদিত কাগজ বিক্রি না হওয়ায় গভীর সংকটে এশিয়ার বৃহত্তম ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত এই কাগজকল। 

বর্তমানে মিলের উৎপাদিত সাদা কাগজ বিক্রি না হওয়ায় কাগজ স্তূপীকৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।

কারখানার তথ্যমতে, কর্ণফুলী পেপার মিলের দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা ৭০ থেকে ৮০ টন। 

কিন্তু, যথাসময়ে কাগজ বিক্রি করতে না পারায় প্রতিষ্ঠানটি এখন দিনে মাত্র ৮ থেকে ১০ টন কাগজ উৎপাদন করছে। সক্ষমতা কম হলেও উৎপাদন অব্যাহত থাকায় উৎপাদিত কাগজ অবিক্রিত  থেকে যাচ্ছে।

কর্ণফুলী পেপার মিলের কমার্শিয়াল ম্যানেজার এইচ এম আনিসুজ্জামান টিবিএসকে বলেন, কারখানাটি সচল রাখতে নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একযোগে কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু, উৎপাদন শেষে ক্রেতা না পাওয়ায় কেপিএমের প্রায় ৫ হাজার টন পেপার অবিক্রিত রয়ে গেছে।

নির্দিষ্ট সময়ে ক্রেতা না পেলে উৎপাদিত এসব কাগজ নষ্ট হয়ে কেপিএমের বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

কর্ণফুলী পেপার মিলের সাম্প্রতিক সর্বোচ্চ উৎপাদন ছিল ২০১৬ সালে। সে বছর প্রতিষ্ঠানটি গড়ে ৮০ টন কাগজ উৎপাদন করে। 

এসময় প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক কাগজ বিক্রির পরিমাণ ছিল ১৫-১৬ হাজার টন। কিন্তু দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা,  নির্ধারিত সময়ে কারখানা সংস্কার করতে না পারায় দীর্ঘদিনের পুরনো কাগজকলটির কার্যক্ষমতা কমে আসছে। 

সক্ষমতার ৭ থেকে ৮ গুণ কম উৎপাদন হওয়ায় বাজার মূল্যের চেয়ে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। যার কারণে প্রতিবছরই বড় ধরনের লোকসানের মধ্যে রয়েছে সরকারি এই কাগজকলটি।

কারখানাটিতে বর্তমানে ২২৫ জন স্থায়ী শ্রমিক ও কর্মকর্তা কাজ করছেন। এছাড়া বাকি ৩০০ অস্থায়ী শ্রমিক কারখানায় নিয়োজিত রয়েছে। বর্তমানে কর্মকর্তা-কর্মচারী-শ্রমিকদের বেতনসহ কর্ণফুলী পেপার মিলের মাসিক খরচ কমপক্ষে ৫ কোটি টাকা।

সেই হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির খরচ বাদে মুনাফায় থাকতে হলে মাসে কমপক্ষে ১ হাজার ৫০০ টন কাগজ উৎপাদন করা দরকার। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রতিষ্ঠানটি মাসে মাত্র ৩০০ থেকে ৩৫০ টন কাগজ উৎপাদন করছে।

এক সময় দেশে তুমুল জনপ্রিয় ছিল কর্ণফুলী পেপার মিলের উৎপাদিত কাগজ। স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে গত দশ-পনের বছর আগ পর্যন্ত দেশের ছাত্র-শিক্ষকের প্রথম পছন্দ ছিল কর্ণফুলী পেপার।

বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ কাগজ উৎপাদনকারী এই প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামের চন্দ্রঘোনায় কর্ণফুলী নদীর তীরে অবস্থিত। প্রতিষ্ঠানটি শিল্প মন্ত্রণালয়ের স্বায়িত্তশাসিত সংস্থা বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন কর্তৃক পরিচালিত হয়।

১৯৫৩ সালে তৎকালীন পাকিস্তান শিল্প উন্নয়ন সংস্থা কর্তৃক রাঙামাটি জেলা কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনায় কর্ণফুলী পেপার মিল প্রতিষ্ঠিত হয়। কর্ণফুলি পেপার মিল শিল্প আইনের অধীনে নিবন্ধিত প্রথম কাগজশিল্প যা ত্রিশ হাজার শ্রমিক নিয়ে এশিয়ার সর্ববৃহৎ কাগজ-কল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। 

মিলটি আমেরিকা, ইংল্যান্ড, জার্মানি, সুইডেন এবং ইতালির সহযোগিতায় ও বিশ্বব্যাংকের ঋণ সহায়তায় স্থাপিত হয়েছিল। প্রতিষ্ঠাকালীন লক্ষ্যমাত্রা ছিল বার্ষিক ৩০ হাজার মেট্রিক টন। 

১৯৫৩ সালের ১৬ই অক্টোবর প্রতিষ্ঠানটি বাণিজ্যিক উৎপাদনে যায়। শুরুতে ব্যবস্থাপনা ক্রটি থাকায় ১৯৬৪ সালে পাকিস্তান সরকার দাউদ গ্রুপের নিকট কোম্পানিটি বিক্রি করে দেয়। তারা কলের আধুনিকায়নের কাজ করে। 

১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হলে বাংলাদেশ শিল্প উন্নয়ন সংস্থা প্রতিষ্ঠানটিকে অধিগ্রহণ করে।

 

Related Topics

টপ নিউজ

কর্ণফুলী পেপার মিল / কাগজ শিল্প

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • পাঁচ ব্যাংক মিলে হচ্ছে এক ব্যাংক, চাকরি হারাবেন না কর্মীরা: গভর্নর
  • ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় আরও ৩৬ দেশ যুক্ত করার কথা ভাবছে ট্রাম্প প্রশাসন
  • ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ যেভাবে শেষ হতে পারে...
  • শ্রেণিকরণের আওতায় আসায় প্রথম তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৭৪,৫৭০ কোটি টাকা
  • কারাগারে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের লাশ উদ্ধার, 'ফাঁস দেওয়ার' দাবি কারা কর্তৃপক্ষের
  • ইসরায়েল হামলা বন্ধ করলে, আমরাও বন্ধ করব: ইরান

Related News

  • খরচ বৃদ্ধি, অতিরিক্ত উৎপাদন ও চাহিদা কমায় মন্দার মুখে দেশের কাগজ শিল্প
  • ৩৬,০০০ কোটি টাকায় কর্ণফুলী পেপার মিলকে পুনরুজ্জীবিত করার পরিকল্পনা
  • একমাস পর উৎপাদনে ফিরল কর্ণফুলী পেপার মিলস
  • বর্জ্য কাগজ প্রক্রিয়াকরণে ১০০ কোটি টাকার নতুন বিনিয়োগ
  • পাল্প সংকটে এখন দেশে ফেলনা কাগজের জন্যও হাহাকার পেপার মিলারদের

Most Read

1
অর্থনীতি

পাঁচ ব্যাংক মিলে হচ্ছে এক ব্যাংক, চাকরি হারাবেন না কর্মীরা: গভর্নর

2
আন্তর্জাতিক

ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় আরও ৩৬ দেশ যুক্ত করার কথা ভাবছে ট্রাম্প প্রশাসন

3
আন্তর্জাতিক

ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ যেভাবে শেষ হতে পারে...

4
অর্থনীতি

শ্রেণিকরণের আওতায় আসায় প্রথম তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৭৪,৫৭০ কোটি টাকা

5
বাংলাদেশ

কারাগারে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের লাশ উদ্ধার, 'ফাঁস দেওয়ার' দাবি কারা কর্তৃপক্ষের

6
আন্তর্জাতিক

ইসরায়েল হামলা বন্ধ করলে, আমরাও বন্ধ করব: ইরান

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net