বেঙ্গল রেডিও ক্লাবের সহায়তায় পরিবার খুঁজে পেলেন রাজিয়া

প্রায় এক বছর ধরে নিখোঁজ রাজিয়া বিবি (৫৫) ভর্তি ছিলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ঝাড়গ্রাম জেলার একটি হাসপাতালে। মানসিকভাবে অসুস্থ রাজিয়ার হঠাৎই স্মৃতি ফিরে আসে কিছু দিন আগে; দাবি করেন তার বাড়ি বাংলাদেশের বরিশাল জেলায়।
ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি ওই নারী কয়েক দিন আগে ভিডিও কলে তার ভাগ্নের সঙ্গে কথাও বলেছেন বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পশ্চিমবঙ্গ রেডিও ক্লাবের 'হাম (অ্যামেচার) রেডিও' অপারেটরদের মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে এই পুনর্মিলন।
রাজিয়ার পরিবার জানায়, গত রমজান মাসে নিখোঁজ হয়েছিলেন তিনি। ছয় মাস আগে স্থানীয় লোকজন তাকে ঝাড়গ্রামে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় পৌর হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে সেখান থেকে ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হয় তাকে।
সুজাতা ভট্টাচার্য নামে এক শিক্ষিকা পশ্চিমবঙ্গ রেডিও ক্লাবের সেক্রেটারি অম্বরীশ নাগ বিশ্বাসকে রাজিয়ার কথা জানান। এরপর সুজাতা এবং নির্মলেন্দু মাহাতো নামের আরেক একজন শিক্ষক মিলে রাজিয়ার পরিবারের সঙ্গে তার কথা বলিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। হাম রেডিওতে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেছেন নির্মলেন্দু। হাসপাতালে গিয়ে তারা পরিবার থেকে দূরে সরে যাওয়া তিনজন রোগীকে খুঁজে পান।
অম্বরীশ বিশ্বাস বলেন, "তাদের মধ্যে একজন ছিলেন হিন্দিভাষী নারী, অন্যজন বাংলাদেশের এবং ১৫-১৬ বছর বয়সী একটি ছেলে। তারা অজ্ঞাত নিখোঁজ ব্যক্তি। হিন্দিভাষী নারীর সঙ্গে ৪০ মিনিটের কথোপকথনের পরে আমরা তার বাড়ির অবস্থান অনুমান করতে পেরেছি। এছাড়া, রাজিয়া বিবির উপভাষার উপর ভিত্তি করে আমরা বুঝতে পেরেছি তার বাড়ি বাংলাদেশে।"
কীভাবে রাজিয়া ভারতে প্রবেশ করেছিলেন সে ব্যাপারে এখনও কিছু জানা যায়নি। জিজ্ঞাসা করলে তিনি নিজেও কিছু মনে করতে পারছেন না। তবে ওয়ার্ডের নার্সরা জানিয়েছেন, একবার রাজিয়া সুন্দরবন এলাকা দিয়ে ভারতে প্রবেশের কথা জানিয়েছিলেন তাদের।
- সূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, আনন্দবাজার পত্রিকা