চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের’ সঙ্গে কর্মচারীদের মারামারি, আহত ১৫

ঢাকার জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে (এনআইওএইচ) আজ (২৮ মে) দুপুরে 'জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত' এবং চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজনদের সঙ্গে হাসপাতালের কর্মচারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় অন্তত ১৫ জন চিকিৎসক, কর্মচারী আহত হয়েছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. খায়ের আহমেদ চৌধুরী দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে (টিবিএস)-বলেন, 'পরিস্থিতি ভয়াবহ খারাপ। ওরা যাকে পাচ্ছে তাকেই মারছে। এ পর্যন্ত আমার ১৫ জন ডাক্তার, নার্স ও কর্মচারী আহত হয়েছেন।'
বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটের দিকে ডা. খায়ের জানান, 'আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে, তবে নিরাপত্তাহীনতার কারণে হাসপাতালের সব ইনডোর রোগী, চিকিৎসক, নার্স ও কর্মীরা হাসপাতাল ত্যাগ করেন।'
তিনি আরও বলেন, 'হাসপাতালে কবে আবার কার্যক্রম শুরু হবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। আগামীকাল দুপুরে এ বিষয়ে একটি সভা হবে।'
জানা গেছে বেলা ১১টার দিকে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। দুপুর দেড়টার দিকে সেবাবাহিনী হাসপাতালে যায়।

সাড়ে তিনটার দিকে হাসপাতালের এক চিকিৎসক টিবিএস-কে বলেন, 'হামলা থেমে যাচ্ছে, আবার একটু পর পর শুরু হচ্ছে। আন্দোলনকারীরা ক্যাম্পাসের কোয়ার্টারেও হামলা করার চেষ্টা করেছে। লাটিসোটা নিয়ে কোয়ার্টারগুলোতে আসে, নিচতলার জানালা গ্লাস ভাঙে। পরে আর্মি এসে পরিস্থিতি ঠান্ডা করে। তবে এখনও ভুয়া ভুয়া শ্লোগান দিচ্ছে।'
তিনি আরও বলেন, 'অপারেশন থিয়েটার, অ্যানেস্থেশিয়া ডিপার্টমেন্ট সবখানে হামলা চালিয়েছে আন্দোলনকারীরা।'
মঙ্গলবার হাসপাতালের পরিচালককে অবরুদ্ধ করে রাখা, জুলাইয়ে আহতদের আত্মহত্যার চেষ্টার পর সংঘর্ষের এই ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।

পরিচালককে অবরুদ্ধ করে রাখা এবং আহতদের আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনায় নিরাপত্তার দাবিতে বুধবার সকাল থেকে কর্মবিরতি পালন করছিলেন কর্মচারীরা।
এ অবস্থায় সকালে 'জুলাই অভ্যুত্থানে আহতরা' হাসপাতালের কর্মচারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। পরে আহতদের সঙ্গে যোগ দেন আউটডোরে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীদের স্বজনরা।