রপ্তানি সক্ষমতা বাড়ানোর করণীয় পর্যালোচনায় আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন

স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা (এলডিসি) থেকে উত্তরণের পর চারটি খাতের রপ্তানি সক্ষমতা বাড়াতে কী কী করা যেতে পারে – তা পর্যালোচনায় গঠিত কমিটির সুপারিশ পর্যালোচনা ও কার্যক্রম গ্রহণের জন্য একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১৫ সদস্যের এ কমিটির প্রধান করা হয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মুখ্য সচিবকে। খাতগুলো হচ্ছে, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাটজাত পণ্য, কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত কৃষি পণ্য এবং ফার্মাসিউটিক্যালস।
২০২৬ সালের ২৪ নভেম্বর এলডিসি থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের কথা রয়েছে। উত্তরণের পর রপ্তানিতে ভর্তুকি বা নগদ সহায়তা দেওয়া সম্ভব হবে না। সেই প্রেক্ষাপটে, অর্থ বিভাগ উদীয়মান বা প্রতিশ্রুতিশীল ওই চারটি খাতের জন্য কী কী করা যেতে পারে—তা পর্যালোচনায় কমিটি গঠন করে।
মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে গঠিত কমিটিতে আছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ বিভাগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব। আরও আছেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান, বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিসিকের চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি। এই কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে কাজ করবেন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মহাপরিচালক।
এই কমিটি প্রধানত অর্থ মন্ত্রণালয় গঠিত কমিটির সুপারিশের মধ্য থেকে সরকারের সক্ষমতা বিবেচনায় কোন কোন সুবিধা দেওয়া যায়—তা নির্ধারণ করবে। পাশাপাশি সুবিধাগুলোর সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করবে। এছাড়া এই কমিটি অর্থ মন্ত্রণালয় গঠিত কমিটির প্রতিবেদনের সুপারিশ ছাড়াও বাস্তবতা ও প্রাসঙ্গিকতা বিবেচনায় অন্য যেকোনো উপযুক্ত সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে পদক্ষেপ করতে পারবে।