ট্রাম্পের শুল্কারোপ পেছানোর কোনো সম্ভাবনা নেই: বাণিজ্য উপদেষ্টা

মার্কিন পণ্য আমদানিতে উচ্চ শুল্ক থাকা দেশগুলোর যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানিতে পাল্টা শুল্কারোপ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। উচ্চ হারে এই নতুন শুল্ক কার্যকর হবে আগামী ৯ এপ্রিল থেকেই। বর্ধিত এই শুল্ক নির্ধারিত তারিখে কার্যকর না করার অনুরোধ জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে তার আগেই একটি চিঠি পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়াসহ বেশকিছু দেশ পাল্টা শুল্কারোপ কার্যকরের সময়সীমা পেছানোর আবেদন করেছে।
এদিকে আজ সকালে (৬ এপ্রিল) বাংলাদেশে ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে এক বৈঠকের পর বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন সাংবাদিকদের জানান, বৈশ্বিকভাবে বা সুর্নিদিষ্ট কোনো দেশের ক্ষেত্রে বর্ধিত শুল্কহার কার্যকরের সময়সীমা পেছানোর সুযোগ নেই।
আজ রোববার সকাল ৯টায় ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতের গুলশানের বাসভবনে এই প্রাতরাশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, শিল্প উপদেষ্টা মো. আদিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ খলিলুর রহমান ও আন্তর্জাতিকবিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী।
পরে সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, "বৈঠকে আমরা জানতে চেয়েছিলাম, 'বর্ধিত ট্যারিফ বাস্তবায়নের তারিখ পেছানোর কোনো সম্ভাবনা আছে কিনা, যা ৯ তারিখ থেকে বৈশ্বিকভাবে কার্যকর হতে চলেছে। কিন্তু, তারা আমাদের জানান, এর কোনো সুযোগ নেই।"
তিনি বলেন, ৯ তারিখে বিশ্বের কিছু দেশের ওপর ট্যারিফ স্থগিত রাখা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছিল, কিন্তু তার কোনো সম্ভাবনা নেই।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, আমাদের মূল কার্যপদ্ধতি হবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমানো। সেক্ষেত্রে যেসব পদক্ষেপ নেয়া যায়— তা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। তারা (যুক্তরাষ্ট্র সরকার) আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের কিছু জানাননি। তারা (বাণিজ্য) সংলাপের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন। এসব আলোচনার মাধ্যমেই সামনে এগোনোর উপায় বের হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা জানানোর চেষ্টা করেছি, যে আমাদের প্রধান উপদেষ্টা ব্যক্তিগতভাবে এসব আলোচনায় যুক্ত থাকবেন। বাকি কাজগুলো ধাপে ধাপে করা হবে। আমাদের পর্যায়ে কোনো ধরনের যোগাযোগ উপায় গ্রহণ করতে পারি— সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, যেসব শুল্ক ও অশুল্ক বাধা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি— আমরা সেগুলো বোঝার চেষ্টা করছি। এরমধ্যে যেগুলো আমাদের অর্থনীতির জন্য উপকারী— আমরা অবশ্যই সেগুলো বাস্তবায়ন করতে চাইব। কিন্তু, যেগুলো নয়, সেগুলোর ক্ষেত্রে আমরা আরও আলোচনায় অংশ নিব।