বিমানবন্দরে মাটি খুঁড়তে গিয়ে আবার মিলল ২৫০ কেজির বোমা

ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সোমবার ২৫০ কেজি ওজনের আরও একটি বোমা পাওয়া গিয়েছে যা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ভূমিতে নিক্ষেপ করা হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজের সময় মাটির ১০ ফুট গভীরে বোমাটির সন্ধান পায়।
পরে একটি বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল ঘটনাস্থলে গিয়ে এটি নিষ্ক্রিয় করে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে বোমাটি নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ধারণা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় বোমাটি এখানে ফেলা হয়েছিল।
এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর ওই কনস্ট্রাকশন সাইটে একই ধরনের আরও একটি বোমা পাওয়া যায়।
কয়েক মাস বিলম্বের পরে ডিসেম্বরের শেষদিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
প্রসঙ্গত, ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ কাজের দায়িত্বে রয়েছে জাপানের মিতসুবিশি করপোরেশন, ফুজিতা করপোরেশন ও স্যামসাং মিলে গঠিত এভিয়েশন ঢাকা কনসোর্টিয়াম (এডিসি)।
দেশের সব বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প উদ্বোধন ও ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিমানবন্দরের মূল টার্মিনালের দক্ষিণ পাশে ২১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হবে সুপরিসর এই তৃতীয় টার্মিনাল। এই অর্থ ব্যয়ের একটি অংশ প্রকল্প সহায়তা হিসেবে দেবে জাইকা। বাংলাদেশ সরকার বাকি অর্থের যোগান দেবে।
এই প্রকল্পের আওতায় একটি প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল বিল্ডিং, রাস্তা, কার পার্কিং, কার্গো কমপ্লেক্স, পার্কিং অ্যাপ্রোনসহ আরও অন্যান্য স্থাপনা তৈরি করা হবে।
তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ কাজ শেষ হতে সময় লাগবে চার বছর। এই প্রকল্পের কাজ শেষ হলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে বছরে প্রায় দুই কোটি যাত্রী চলাচলের সুযোগ পাবে।
এই প্রকল্পের একটি অংশে কাজ করবে কোরিয়াভিত্তিক স্যামসাং সিঅ্যান্ডটি করপোরেশন। তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ শেষ হলে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এ অঞ্চলের সেরা বিমানবন্দরে পরিণত হবে বলে আশা করছে সরকার।
গত ৯ আগস্ট শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ কাজের অগ্রগতি ও বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের নবনির্মিত ভবন পরিদর্শনকালে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী জানান, প্রকল্পের ৬.৪ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ২০২৩ সালের জুনের মধ্যেই নির্মাণ কাজ শেষ করে তা যাত্রীদের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করা সম্ভব হবে।