চীনা উপহারের ৫ লাখ টিকা হস্তান্তর করল বেইজিং

বিশেষ উপহারস্বরূপ চীনা সিনোফার্ম কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ৫ লাখ ডোজ আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
এ সময় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
টিকা হস্তান্তর শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, "আমাদের আরও টিকার প্রয়োজন। আজকে গ্রহণ করা টিকাগুলোর দুই ডোজে মাত্র আড়াই লাখ লোককে টিকার আওতায় আনা সম্ভব হবে"।
"দেশের মহামারি পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তবে ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভিড়ে সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে সরকার উদ্বিগ্ন", যোগ করেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, "আমাদের প্রয়োজনমতো প্রতি মাসে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সংগ্রহের জন্য সরকার চীন সরকারের সাথে সক্রিয়ভাবে আলোচনা করছে"। তিনি বলেন, "দেশেই টিকা তৈরির জন্য স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতাও বিবেচনা করছি আমরা"।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন যে, এ টিকার কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই এবং এখন পর্যন্ত ৬০টির অধিক দেশে এটি ব্যবহৃত হচ্ছে।
চীন থেকে উপহার হিসেবে পাঠানো পাঁচ লাখ ডোজ সিনোফার্ম ভ্যাকসিন আজ বুধবার (১২ মে) ঢাকায় এসে পৌঁছায়।
ভোর ৫টা ৩৫ মিনিটের দিকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর (বিএএফ) টিকাবাহী সি-১৩০ ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
গতকালই প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ অধিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, করোনাভাইরাসের ৫ লাখ ডোজ টিকা আনতে চীনের উদ্দেশ্যে দেশ ছেড়েছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি পরিবহন বিমান।
এর আগে, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং সিনোফার্ম কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ৫ লাখ ডোজ আনুষ্ঠানিকভাবে ১২ মে বাংলাদেশে আনার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
মঙ্গলবার তিনি বলেন, "মহামারি রোধকল্পে চীন-বাংলাদেশ সহযোগিতার সাম্প্রতিক সংযোজন এটি। এ থেকে আবারও স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, করোনার বিস্তার রোধে এ দুই দেশের মানুষ একই কাতারে রয়েছে এবং আমরা এ যুদ্ধের শেষ পর্যন্ত পরস্পরের পাশে থাকব"।
উপহার হিসেবে পাঁচ লাখ ডোজ টিকা চলে আসলেও চীন থেকে বাণিজ্যিকভাবে বাংলাদেশের চাহিদা অনুযায়ী টিকা আসতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত ওষুধ প্রস্তুতকারক সিনোফার্মের আবিষ্কৃত কোভিড-১৯ টিকাকে গত ২৯ এপ্রিল দেশে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয় ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর। গভমেন্ট টু গভমেন্ট (জিটুজি) চুক্তির আওতায় চীন থেকে বাংলাদেশ সরকার এ টিকা কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।