দুর্ঘটনাবশত নিজ জাহাজে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, নিহত ১৯

ওমান উপসাগরে এক প্রশিক্ষণ মহড়ায় অংশ নেওয়ার সময় ইরানি নৌবাহিনীর ছোঁড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্রে তাদের একটি সহযোগী জাহাজে আঘাত হেনেছে। এতে কমপক্ষে ১৯ জন নাবিক মারা গেছেন এবং আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন।
পারস্য উপসাগরে মার্কিন নৌবহরের অবস্থান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মাঝে আজ সোমবার এই দুর্ঘটনার কথা নিশ্চিত করে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন।
গতকাল রোববারের ওই দুর্ঘটনাটি ক্ষেপণাস্ত্রের লক্ষ্য নির্ণয়ে কারিগরি ত্রুটির কারণে হয়েছে বলেই জানানো হয়। আরও বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হবে। খবর এপির।
হামলার শিকার জাহাজের নাম কোনারাক। এটি হেন্দিজান শ্রেণীর একটি সরবরাহ জাহাজ। ওমান সাগরের প্রশিক্ষণে কোনারাক অংশগ্রহণ করে। মূলত অন্যান্য জাহাজের জন্য সমুদ্রের নির্দিষ্ট জায়গায় লক্ষ্যবস্তু স্থাপনের কাজ করছিল কোনারাক। এই সময়েই একটি ক্ষেপণাস্ত্র ভুল করে জাহাজটিতে আঘাত হানে।
রাজধানী তেহরান থেকে ৭৯০ মাইল দূরে জাস্ক বন্দরের কাছাকাছি অঞ্চলে 'ফ্রেন্ডলি ফায়ারের' এই দুর্ঘটনা ঘটে।
ইরানি গণমাধ্যম জানায়, ২০১৮ সালে কোনারাককে আরও সক্ষম করে তুলতে এতে ক্ষেপণাস্ত্র সংযোজন করা হয়। ১৯৮৮ সালে প্রথম ইরানি নৌবাহিনীর সার্ভিসে আসে ৪৭ মিটার দৈর্ঘ্যের নেদারল্যান্ডে নির্মিত জাহাজটি। সাধারণত এতে ২০ জন নাবিক থাকেন।
ওমান উপসাগরে নিয়মিত প্রশিক্ষণ মহড়া চালায় ইরান। পারস্য উপসাগরের কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ হরমুজ প্রণালির প্রবেশ পথেই ওমান উপসাগরের অবস্থান।
বিশ্বের প্রায় ২০ শতাংশ তেল রপ্তানি এই পথ ধরে রপ্তানি করা হয়। মধ্যপ্রাচ্যের এই গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যপথের ওপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চম নৌবহর মোতায়েন রাখা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এপির পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে ইরানের এই দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে পঞ্চম নৌবহর সদর কোনো তাৎক্ষনিক মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায়।